পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের দুই কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। মিশরের শারম আল শাইখে কপ২৭-এ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে অভিবাসন বিষয়ে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। সেখানে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অভ্যন্তরীন অভিবাসনের চিত্র তুলে ধরেন।
আজকে সাড়ে ছয় লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত। বিভিন্ন হিসেবে দেখা গেছে, এ সংখ্যা দুই কোটিতে গিয়ে পৌঁছাবে। এটা সারা বিশ্বের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন তিনি বলেন, ‘আজকে সাড়ে ছয় লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত। বিভিন্ন হিসেবে দেখা গেছে, এ সংখ্যা দুই কোটিতে গিয়ে পৌঁছাবে। এটা সারা বিশ্বের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি।’
আরোও পড়ুন:
ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা-২০২২ উপলক্ষে প্রেস ব্রিফিং
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদে লিখিত পরীক্ষার আসনবিন্যাস প্রকাশিত
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এর বাইরেও নিজের স্বাভাবিক আবাস হারানোর ঝুঁকিতে আছেন প্রায় দ্বিগুণ মানুষ। বিশ্বব্যাংক বলছে, লবণাক্ততা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অন্যান্য কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ চার কোটি মানুষ তাদের স্বাভাবিক বাসস্থান থেকে সরে যেতে বাধ্য হবেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুতি অন্যান্য যেকোনো অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির চেয়ে বেশি হবার আশঙ্কা আছে।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন, এই মানুষগুলোর বাস্তুচ্যুতি বিশ্বকে ঝুঁকিতে ফেলছে। এর দায়িত্বও তাই সবাইকে নিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তৈরি হওয়া উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের দায়ের ভাগ নিতে বিশ্বকে এগিয়ে আসতে হবে এখনই। আমরা যদি এখনি সংশোধনমূলক ব্যবস্থা না নেই তাহলে এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বিশ্বের জন্যও একটা নিরাপত্তা ইস্যুতে পরিণত হবে।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।